মোহাম্মদপুরে আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নামের স্তম্ভ

মহান আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম সংবলিত দৃষ্টিনন্দন স্তম্ভ নির্মিত হয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। স্তম্ভটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য গ্লোরি অব বঙ্গবন্ধু’। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নামে আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম সংবলিত স্তম্ভ এই প্রথম নিমার্ণ করা হয়।

রায়েরবাজারে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কবরস্থান নির্মাণ করে দেওয়ায় মোহাম্মদপুরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহারস্বরূপ এই স্তম্ভটি নিমার্ণ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জমান রাজিব।

মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডে নির্মিত স্তম্ভটি খুব শিগগির উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তরুণ এই কাউন্সিলরের সুন্দর চিন্তার ফসল আল্লাহর ৯৯ নাম সংবলিত স্তম্ভ ‘দ্য গ্লোরি অব বঙ্গবন্ধু’। 

বঙ্গবন্ধুর নামে মহান আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম সংবলিত স্তম্ভটি নিমার্ণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, নগরজীবনের ব্যস্ততায় স্থাপনাটি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কথা পথচারীদের স্মরণ করিয়ে দেবে। এজন্য কাউন্সিলর রাজিবকে আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

‘দ্য গ্লোরি অব বঙ্গবন্ধু’ নিমার্ণের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে মোহাম্মদপুর জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আল্লাহর নাম মানুষের স্মরণে আসবে। দেখলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ আল্লাহকে স্মরণ করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি আরব দেশে ও সৌদি আরবের বিভিন্ন পথে পথে আল্লাহ নাম লেখা থাকে। এ থেকে করে মানুষের মনে আল্লাহর নাম স্মরণ হয়।   

এছাড়া কাউন্সিলর রাজিব শিয়া মসজিদ-সংলগ্ন চৌরাস্তায় আরেকটি স্তম্ভ নিমার্ণ করেন। যার নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য গ্লোরি অব নামিরা’। 

এলাকাবাসী সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাউন্সিলর রাজিব কাজ-কর্মে যেমন তড়িৎকর্মা, চিন্তা-চেতনায়ও তেমন উন্নত। তিনি প্রথমবারের মতো ইসলাম ধর্ম প্রধান দেশে ধর্মীয় চিন্তা-ভাবনা থেকে এমন একটা স্তম্ভ নির্মাণ করেছেন। এটি তাদের মুগ্ধ করেছে।

এই বিষয়ে কাউন্সিলর রাজিব বলেন, মোহাম্মদপুর ঐতিহ্যগতভাবেই একটি মুসলিম নাম। আল্লাহর কাছে আমি শুকরিয়া আদায় করছি যে, আমি এই ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি। 

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৯২টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে তরুণ কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিব। কল্যাণমুখী এই কাউন্সিলরকে এলাকার গরিব-দুঃখীরা ভালোবেসে ডাকেন ‘জনতার কমিশনার’।